ভারতের কেরালা রাজ্যে ‘মগজ-খেকো অ্যামিবা’ সংক্রমণে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৬১ জন আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছেন ১৯ জন, যাদের বেশিরভাগের মৃত্যু ঘটেছে গত কয়েক সপ্তাহে।
সংক্রমণটি নিগ্লেরিয়া ফাউলেরি নামের একটি অণুজীবের মাধ্যমে ছড়ায়, যা প্রাইমারি অ্যামিবিক মেনিংগোএনসেফালাইটিস (পিএএম) নামের বিরল ও মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে। এটি সাধারণত স্থির ও গরম পানিতে পাওয়া যায় এবং নাক দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে মস্তিষ্কে সংক্রমণ ঘটায়। তবে পান করে নয়—শুধু সাঁতার কাটা, ডুব দেওয়া বা গোসলের মাধ্যমে এটি ছড়ায়।
কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, এবার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে, যা রোগ নির্ণয়ে জটিলতা বাড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে পানিতে এই অণুজীবের বিস্তার বাড়ছে।
পিএএম-এর উপসর্গগুলো সাধারণ মেনিনজাইটিসের মতো:
তীব্র মাথাব্যথা
জ্বর
বমি
বিভ্রান্তি
সংক্রমণ শনাক্ত না হলে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই মৃত্যু হতে পারে।
চিকিৎসা ও প্রতিকার
শুরুর দিকে শনাক্ত করা গেলে কিছু অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা সম্ভব। তবে রোগটি দ্রুত ছড়ায় এবং বিরল হওয়ায় চিকিৎসা জটিল।
সুরক্ষার উপায়
পুকুর, জলাশয়, কূপের পানিতে গোসল বা সাঁতার এড়িয়ে চলা
পানিতে নামলে নাকের ক্লিপ ব্যবহার করা
পানির ট্যাংক ও কূপ নিয়মিত পরিষ্কার রাখা ও ক্লোরিন ব্যবহার
সরকার পরিবেশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে সম্ভাব্য সংক্রমণ উৎস চিহ্নিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, কারও যদি এ ধরনের পানিতে নামার পর উপসর্গ দেখা দেয়, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে