বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এক বৈমানিক ক্যাপ্টেন মুনতাসির রহমান পাসপোর্ট ছাড়া আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করে সৌদি আরবে জেদ্দা বিমানবন্দরে আটক হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ নিয়ে জেদ্দা পৌঁছালে সৌদি ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটক করেন।
সূত্র জানায়, আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিমান কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে তাকে বিমানবন্দর থেকে হোটেলে স্থানান্তর করা হয়। পরে সন্ধ্যার একটি ফ্লাইটে তার পাসপোর্ট পাঠানো হয় সৌদি আরবে।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. সাফিকুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর আগেও বিমানের বৈমানিকরা একই ধরনের দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক ফ্লাইটে ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ পাসপোর্ট ছাড়া দোহায় পৌঁছে আটকা পড়েন। পরে তিনি অন্য ফ্লাইটে দেশে ফেরেন।
৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ক্যাপ্টেন এনাম মেয়াদোত্তীর্ণ আইডি কার্ড নিয়ে ঢাকা-লন্ডন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করেন। লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে তাকে আটক করা হয় এবং টিকিট কেটে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে
একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটায় বিমানের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও যাচাই-বাছাই ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে পাসপোর্ট ও বৈধ পরিচয়পত্র না থাকাটা কেবল দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নয়, বরং তা আন্তর্জাতিক আইন ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা প্রটোকলেরও লঙ্ঘন।
পরবর্তী পদক্ষেপ?
এখন পর্যন্ত বিমানের পক্ষ থেকে তদন্ত কিংবা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। তবে বিষয়টি সামনে আসার পর সংশ্লিষ্ট মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে এবং তদন্তের দাবি উঠেছে।