আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) ব্যবস্থা নিয়ে রাজপথে আন্দোলনের পরিবর্তে আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, যদি আলোচনার টেবিলে সমাধান হয়, আমি আশা করি হবে ইনশাআল্লাহ। তাহলে আমরা যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে বন্ধ করতে পারব।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, যারা পিআর নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করছেন, তা কমিশনের আলোচ্য বিষয় নয়। প্রত্যেকের রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে, আমরাও রাজপথে কথা বলি। তবে পিআর বাস্তবায়নে আলোচনার বিকল্প নেই। আলোচনার সুযোগ রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধী আচরণ।
তিনি জানান, বৈঠকে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মতামত উপস্থাপন করা হয়েছে। কেউ কেউ সরকারের সাংবিধানিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুললেও, তিনি দাবি করেন—সুপ্রিম কোর্টের ব্যাখ্যার ভিত্তিতে সংবিধান মেনেই বর্তমান সরকার গঠিত হয়েছে।
সালাহউদ্দিন বলেন, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত বিষয়ে প্রয়োজনে বিচার বিভাগের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। তবে সাংবিধানিক আদেশ চ্যালেঞ্জ করায় খারাপ দৃষ্টান্ত তৈরি হতে পারে।
সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজন নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচিতরা সনদে স্বাক্ষর করেই জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন। মৌলিক সংস্কারের জন্য সংসদীয় গণভোট লাগলেও, একই বিষয়ে একাধিকবার গণভোটের যৌক্তিকতা নেই। এসব বিষয়ে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত।
তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হয় বা অনিশ্চয়তায় পড়ে, তাহলে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি লাভবান হতে পারে। তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আলোচনার মাধ্যমেই রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হবে এবং সংসদ গঠনের পর মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় গণভোটের বিষয়টি বিবেচনায় আনা যেতে পারে।