‘আমার ভোটটি গেল কই’— এমন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ডাকসুর কেন্দ্রীয় সদস্য পদে প্রার্থিতা করা শহীদুল্লাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. সজিব হোসেন। একই সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলেন আরেক প্রার্থী রাকিব হোসেন গাজী। ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’ প্যানেল থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে অনুষ্ঠিত হয় এই সংবাদ সম্মেলনে।
এ সময়, উভয়েই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করবেন বলেও জানান।
সজিব হোসেন অভিযোগ করেন, নির্ধারিত কার্জন হল কেন্দ্রে জিএস পদে যে প্রার্থীকে তিনি ভোট দেন সেটি হিসেব হয়নি। নিয়মমাফিক ভোট দিলেও তার প্রার্থীর ফলাফলে দেখা যায় শূন্য ভোট। তার ভোটটি বাতিল হলে তা জানানো ও যৌক্তিক কারণ দর্শানোর দাবি করেন তিনি।
অপরদিকে, রাকিব হোসেন গাজী অভিযোগ করেন, নির্বাচনে প্রার্থী স্লিপ বিতরণে মানা হয়নি নিয়ম। বিভিন্ন প্রার্থীদের প্রতি কমিশন আলাদা আচরণ করেছে। এছাড়া, প্রচার প্রচারণায় একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দেয়ার অভিযোগও তোলেন তিনি।
এর আগে, মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীন বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
এবার ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ৪৭১ জন। আর ১৮টি হল সংসদে নির্বাচন হয়েছে ১৩টি পদে। হল সংসদের ২৩৪টি পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৩৫ জন। ডাকসুতে এবার মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৮৭৪। এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ আর ১৩টি ছাত্র হলে ভোটার ২০ হাজার ৯১৫ জন ভোটার ছিলেন।