বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনগণকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। আমাদের ভয়কে জয় করতে হবে। মানবিক সমাজ তথা মানুষের অধিকার আদায়ে মানুষের কাছে যেতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী সরকার স্বস্তির সাথে জামাতে নামাজও আদায় করতে দেয়নি। মহান আল্লাহ এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এখন সুযোগ দিয়ে পরীক্ষা করছেন। এখনো চলার পথ মসৃণ নয়। দ্বীন কায়েমের সম্ভাবনা যত বেশি ষড়যন্ত্র তত গভীর হবে। সামনের সময় খুব কঠিন। ইসলামী দলগুলোকে টুকরো করে ভাগ ভাগ করা হয়েছে। ইতোপূর্বে ইসলামপন্থীদের মাথায় কাঠাল ভেঙে খেয়েছে। বৈষম্যহীন, ঘুষ-দুর্নীতিমুক্ত ন্যায়-ইনসাফ, শান্তির সমাজ বিনির্মাণে যুবকদের কাছে টেনে নিতে হবে। তাদের চিন্তার সাথে অন্যদের সংঘাত চলছে। এই জাতিকে সঠিক পথে এগিয়ে নেয়ার ঐতিহাসিক দায়িত্ব রয়েছে জামায়াতের। আমরা নির্বাচনী মোর্চা নয়, দ্বীন-ঈমানদারীর প্রশ্নে ঐক্য হওয়া যাবে।’
শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে ফেনী জেলা জামায়াতে ইসলামীর রুকন সম্মেলনে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শহরের কিং অব ফেনী কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলটির জেলা আমির মুফতি আবদুল হান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবু তাহের মোহাম্মদ মা’ছুম ও মুহাম্মদ শাহজাহান।
নির্বাচন প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কালো টাকা, পেশীশক্তির রাস্তা বন্ধ হবে। ফ্যাসিজম সৃষ্টি হবে না। পিআর পদ্ধতি হলে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন হবে এমন চিন্তা একটি বিশেষ দল থেকে প্রচার করা হবে। শহীদদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। ১৮ কোটি মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ হচ্ছে। এজন্য স্থানীয় সরকারের নির্বাচন চাই। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে খারাপ লোকেরা নেতৃত্ব পেয়ে যায়। কথা লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত এই আওয়াজ জোরদার করতে হবে। দলের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বার্থ বড় প্রমাণ করতে হবে।’
জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবদুর রহীমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ডা. মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন মানিক, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ও অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন, জেলা নায়েবে আমির অধ্যাপক আবু ইউসুফ।