পতিত আওয়ামী সরকার যাওয়ার পর বিনিয়োগকারীরা আশায় বুক বেঁধে ছিল, এবার বুঝি পুঁজিবাজার ভালো হবে। কিন্তু ভাবা এবং বাস্তবতায় যোজন যোজন ফারাক। বরং পুঁজিবাজারে টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীরা দিশেহারা। পুঁজির নিরাপত্তা চেয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছে। এবার ‘কাফন মিছিল’ করেছেন। কাফন মিছিলে শেয়ারবাজারের এই মহা সংকটের জন্য পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে দায়ী করে তার অপসারণের দাবি জানানো হয়।
এসময় ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা কাফনের কাপড় পরে রাজপথে শুয়ে পড়েন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে বাংলাদেশ ক্যাপিট্যাল মার্কেট ইনভেস্টর এসোসিয়েশনের ব্যানারে রাজউক অ্যাভিনিউয়ে আইসিবির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও কাফন মিছিল করেছেন বিনিয়োগকারীরা।
মিছিলে কাফন আছে কবর দে, নইলে গদি ছেড়ে দে, দফা এক দাবি এক, রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ, তুমি কে আমি কে, বিনিয়োগকারী বিনিয়োগকারী ইত্যাদি স্লোগানে উত্তপ্ত হয় মতিঝিল এলাকা। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে আগামী ১১ মে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের বৈঠকে থাকবেন রাশেদ মাকসুদ। প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিএসইসির চেয়ারম্যানের থাকার খবরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। তারা বলেন আমরা এই চেয়ারম্যানের অপসারণ চাই।
তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে থাকলে পুঁজিবাজার ভালো হবে না। সরকার তাকে অপসারণ করার পরিবর্তে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে তাঁকে ডাকা হয়েছে। এসময় বিনিয়োগকারীরা ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) চেয়ারম্যান আবু আহমেদেরও অপসারন চান।
বিক্ষোভে বিনিয়োগকারীরা বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর আমরা আশা করেছিলাম পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু অর্থ উপদেষ্টা ও বিএসইসির চেয়ারম্যানের কারণে তা হচ্ছে না। আমরা বাজারকে ভালো অবস্থায় দেখতে চাই। আমরা বাজারে সুশাসন চাই, বাজারে স্থায়ী সমাধান চাই। বিনিয়োগকারীরা আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিএসসি চেয়ারম্যানসহ অর্থ উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
সেখানে বিনিয়োগকারীদের কোন প্রতিনিধি নেই। বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ছাড়া পুঁজিবাজারের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এসময় তারা পুঁজিবাজার নিয়ে আলোচনায় বিনিয়োগকারীদের রাখার দাবি জানান তারা। সেই সাথে রাশেদ মাকসুদের অপসারণসহ প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ দাবি করেন বিনিয়োগকারীরা।