এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এপিডি) এরফানুল হক আমাদের সময়কে বলেন, বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ নিয়ে কাজ চলছে। আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার।
জানা গেছে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত সময়কালে চাকরিতে নানাভাবে বঞ্চনার শিকার এবং উল্লিখিত সময়কালের মধ্যে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনার লক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কমিটি গঠিত হয় ২০২৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তারিখে। কমিটির প্রধান ছিলেন সাবেক অর্থসচিব এবং
বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের সাবেক বিকল্প নির্বাহী পরিচালক জাকির আহমেদ খান। গত ১০ ডিসেম্বর তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয় পাঁচ সদস্যের ওই কমিটি। এই কমিটির সুপারিশে এরই মধ্যে ৭৬৪ কর্মকর্তাকে ‘ভূতাপেক্ষ’ পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আবার এই কমিটির মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার।
গঠিত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, প্রায় ১৬ বছরে জনপ্রশাসন থেকে অবসরে যাওয়া সাবেক ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে ‘ভূতাপেক্ষ’ পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত এই পদোন্নতি দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ১১৯ জন সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। সচিব ছাড়াও গ্রেড-১ (সচিবের সমান বেতন গ্রেড) পদে ৪১ জন, অতিরিক্ত সচিব পদে ৫২৮ জন, যুগ্ম সচিব পদে ৭২ জন ও উপসচিব পদে চারজনকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া হয়। ১ হাজার ৫৪০টি আবেদনের বিপরীতে কমিটির যাচাই-বাছাইয়ে ৭৬৪ জন সুযোগ পান। এর মধ্যে মারা যাওয়া কর্মকর্তাদের পক্ষে তাদের পরিবারের সদস্যদের করা ১৯টি আবেদন ছিল।
যাচাই-বাছাই করে কমিটি ৭৬৪ জনের ‘ভূতাপেক্ষ’ পদোন্নতি দেওয়ার সুপারিশ করে। ওই ৭৬৪ কর্মকর্তার মধ্যে কমিটি ৯ জনকে চার ধাপ, ৩৪ জনকে তিন ধাপ, ১২৬ জনকে দুই ধাপ ও ৫৯৫ জনকে এক ধাপ পদোন্নতি দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। সেই সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন দেওয়ার পর প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে ১৯৬ যুগ্ম সচিব পদোন্নতি পেয়েছেন। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বার বার পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তারা তখনও বঞ্চিত হয়েছেন। অন্যদিকে গত সরকারের সুবিধাভোগী কিছু কর্মকর্তা ঠিকই পদোন্নতি বাগিয়ে নেন।