রফিকুল ইসলাম: জনাব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। একাধারে অনেক গুণে গুনান্বিত একজন মানুষ।বৈষয়িক বিষয়ে বেশ সৎ বলেই তিনি সমাজে প্রতীয়মান সাথে কৃতজ্ঞ ও বটে ! এমিরেটাস ও ইউজিসির প্রফেসর পদটি তিনি খুনি হাসিনার থেকে পেয়েছিলেন বলেই কৃতজ্ঞতাস্বরুপ এখন ফ্যাসিস্ট এই দলটিকে ভিন্নভাবে টেনে তোলার দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন।ফ্যাসিজম এবং গণতন্ত্র একই মুদ্রার এপিঠ-এপিঠ নয় বরং সম্পুর্ন বিপরীতমুখি অবস্থান এদের।অনলাইন সংস্করণে থাকা তার এই কলামটি মনযোগ দিয়ে পাঠ করলেই তা বোঝা যাবে ! জুলাই বিপ্লবে ছাত্রদের পক্ষাবলম্বন করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ তাকে অনুরোধ করলে তিনি শারিরীক অসুস্থতার অযুহাতে পাশ কাটিয়ে গেলে ও পরেরদিন ভিসি কর্তৃক আহ্বানকৃত সভায় ঠিকই যোগ দিয়েছিলেন। সেই সভার মূল উদ্দেশ্যই ছিল ছাত্র আন্দোলন প্রতিহত করে ফ্যাসিস্ট সরকার কে টিকিয়ে রাখা। ছাত্র আন্দোলনের ফসল অন্তর্বতীকালীন সরকার কে নিয়ে ও এত অল্প সময়েই প্রশ্ন তুললেন !!এইসকল ভাল মানুষের মুখোশধারি, জ্ঞ্যানপাপীদের আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমাদের সকলেরই সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। শত-সহস্র ছাত্র জনতার আত্মদানে যে বাংলাদেশ আজ আমাদের সম্মুখে, নবজাতকের সাথে তুলনা করলে ভূল হবে না। একে পরিচর্যা করতে হবে সম্মিলিতভাবে। অহেতুক সমালোচনা পরিহার করে সহযোগিতার জন্য খোলামন নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। শুধুমাত্র একবার ভাবুন, ছাত্র -জনতার এ আন্দোলন ব্যার্থ হলে কি হত?
লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও মানবাধিকার কর্মী।