রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের মারধর করে দুটি ভারতীয় চোরাই মহিষ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাত দেড়টায় বিজিবির পক্ষ থেকে এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।
বিজিবির রাজশাহীর-১ ব্যাটালিয়নের রাজাবাড়ি বিশেষ ক্যাম্পের হাবিলদার মো. শাহ আলম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেছেন। এর আগে শনিবার সকালে মহিষ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মো. মুকুল (৫৫), তার ছেলে হাসান (২৮), বিয়ানাবোনা গ্রামের মো. আক্কাশ (৫৯), তার জামাতা মো. জীবন (৩৩), মোল্লাপাড়া গ্রামের মো. বাবলু (৫০), তার ছেলে মো. ডলার (৩২), একই গ্রামের নয়ন (৩৫), বিজয়নগর গ্রামের হামিদ (৩৫), মো. জনি (৩৫), তার ভাই মো. টনি (৩৩), বিয়ানাবোনা গ্রামের মো. জনি (৪০) ও পবার গহমাবোনা গ্রামের সিজার (৩০)।
এদের মধ্যে জনি ও টনি দেওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল হাই টুনুর ছেলে। আক্কাস দেওপাড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি। বাবলু ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। নয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ভারত থেকে চোরাইপথে দুটি মহিষ আনার খবর পেয়ে নাজিরপুর গ্রামে অভিযানে নামে বিজিবি। তখন অভিযুক্ত মুকুল কৌশলে পালিয়ে যান। মুকুলকে না পেলেও বিজিবি সদস্যরা মহিষ দুটি জব্দ করে রাজাবাড়ী বিশেষ ক্যাম্পে নিয়ে আসছিলেন। আসার পথে রাজাবাড়ী এলাকায় বিএনপির এই নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র এবং লাঠিশোটা নিয়ে অতর্কিতভাবে বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা করেন। এক পর্যায়ে মহিষ দুটি ছিনিয়ে নেন।
গোদাগাড়ী থানার ওসি রুহুল আমিন বলেন, ‘বিজিবিকে মারধর করে ভারতীয় মহিষ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা ছিনিয়ে নেওয়া মহিষ দুটি উদ্ধারের চেষ্টা করছি। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
এদিকে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা আত্মগোপনে থাকায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আক্কাসের মোবাইলে ফোন করা হলে তার ভাই মো. শরীফ ধরেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমার ভাই বাড়িতে নাই। মহিষ নিয়ে আসলে কী হয়েছে আমি সঠিক বলতে পারব না।’