শিরোনাম :
এশিয়ায় সুগার ড্যাডির সংখ্যায় প্রথম স্থানে ভারত আ. লীগ নিষিদ্ধের বয়ান বাতলে দিলেন পিনাকী! লেখক ও ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণা কীভাবে হতে পারে তা তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, আইনগত পরিভাষা গুরুত্বপূর্ণ যে কোনো ঘোষণার ক্ষেত্রে। অতএব, এইরকম ঘোষণা দেয়া যাইতে পারে: “এতদ্বারা বাংলাদেশের চিরস্বাধীন ও সার্বভৌম জনগণ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী, মানবতার বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে অগণিত গুম, খুন ও অন্যান্য অমার্জনীয়, অকল্পনীয়, বীভৎস ও দালিলিকভাবে প্রমাণিত অসংখ্য অপরাধ সংঘটনকারী, গণহত্যাকারী, লুটেরা, স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট; জনগণের রাজনৈতিক, সিভিল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও অন্যান্য সকল গণতান্ত্রিক ও নাগরিক অধিকার লুন্ঠনকারী; জনগণের ভোটাধিকার, মতপ্রকাশের অধিকার, বাকস্বাধীনতা ও সভাসমাবেশের অধিকার হরণকারী; রাষ্ট্রবিরোধী, অনুতাপ ও অনুশোচনাবিহীন বাংলাদেশ-বিরোধী ভারতভৃত্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সকল সহযোগী অঙ্গসংগঠনকে বাংলাদেশের আইন ও আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে বেআইনী, অবৈধ, রদ, রহিত, অবলুপ্ত এবং আইনের দৃষ্টিতে ও জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায় অনুযায়ী নিষিদ্ধ এবং বৈধ-অস্তিত্ববিহীন ঘোষণা করা হইল। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের আদেশক্রমে, —বাংলাদেশের চিরস্থায়ী মুক্ত ও সার্বভৌম বাংলাদেশে হামলা নিয়ে কেন এমন এলার্ট যুক্তরাজ্যের? ঈদ করেই দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ, আনন্দিত চীন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ ছাত্রীসহ ১২ জনকে বহিষ্কার সেনাসদস্যকে মারধর করায় রেলওয়ের গার্ডসহ তিনজন আটক স্বজন হারানোর বেদনা: স্বৈরশাসকের কান্নার আড়ালে রক্তাক্ত ইতিহাস তুলে ধরলো জাতিসংঘ! মসজিদে ঢুকে যুবকের আত্মহত্যা! কোনো দল তৈরি হবে, এই বিবেচনা করে সুপারিশ করা হয়নি: আলী রীয়াজ

এফবিআইয়ের রিপোর্ট বানোয়াট, মিথ্যা ধরা পড়েছে: সজীব ওয়াজেদ জয়

উন্নয়ন সংবাদ রিপোর্ট
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ৮টি বিলাসবহুল গাড়ি এবং ৫টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর তদন্তে এ তথ্য উঠে এসেছে। তবে সজীব ওয়াজেদ জয় তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করেছেন।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জয় লিখেন, সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এর একটি রিপোর্ট ফাঁস করা হয়। জয় দাবি করেন, রিপোর্টটি ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে ভরা। তবে তাদের অসাবধানতা ও বোকামির কারণে রিপোর্টটির মিথ্যা প্রমাণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। রিপোর্টে কয়েকটি গুরুতর ভুল রয়েছে বলেও জানান হাসিনাপুত্র।

এফবিআইয়ের তদন্তে জানা গেছে, হাসিনা ও জয় যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে ৩০ কোটি ডলার (প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা) পাচার করেছেন। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাটি দাবি করেছে, তারা জয়ের আর্থিক কর্মকাণ্ডে উল্লেখযোগ্য অনিয়ম উদঘাটন করেছে।

এফবিআইয়ের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে।

বিলাসবহুল ৮টি গাড়ি, পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জয়ের সম্পৃক্ততা পেয়েছে এফবিআইবিলাসবহুল ৮টি গাড়ি, পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জয়ের সম্পৃক্ততা পেয়েছে এফবিআই
২০২৩ সালের ২৩ এপ্রিল মার্কিন বিচার বিভাগের অপরাধ বিভাগের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে এফবিআইয়ের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। এফবিআইয়ের প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি দুদক হাতে পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এফবিআই জয়ের মালিকানাধীন ৮টি বিলাসবহুল গাড়ি পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে – ম্যাকলারেন ৭২০এস (মূল্য ২ লাখ ৫০ হাজার ৫৭৮ ডলার), মার্সিডিজ বেঞ্জ এএমজি জিটি (মূল্য ১ লাখ ৯ হাজার ৮০৬ ডলার), মার্সিডিজ বেঞ্জ এস-ক্লাস (মূল্য ৫১ হাজার ৮ ডলার), এসএল শ্রেণির মার্সিডিজ বেঞ্জ (৭৩ হাজার ৫৭০ ডলার), লেক্সাস জিএক্স ৪৬০ (মূল্য ৩০ হাজার ১৮২ ডলার), রেঞ্জ রোভার (৩৭ হাজার ৫৮৬ ডলার), জিপ গ্র্যান্ড চেরোকি (৭ হাজার ৪৯১ ডলার) এবং গ্র্যান্ড চেরোকি (৪ হাজার ৪৭৭ ডলার)। তবে জয় দাবি করেন, এসব গাড়ি অনেক পুরোনো এবং অধিকাংশই বহু আগে বিক্রি হয়ে গেছে।

এফবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা হংকং ও কেম্যান আইল্যান্ডে সজীবের ব্যাংক হিসাব খুঁজে পেয়েছে। স্থানীয় একটি মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানির মাধ্যমে ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক ও লন্ডনে সন্দেহজনক অর্থ স্থানান্তরের বিষয়টি জানা যায়।

জয়ের সন্দেহজনক কার্যকলাপ খতিয়ে দেখতে এফবিআই যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অনুসন্ধানগুলো সম্ভাব্য অবৈধ ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন।

এফবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্পেশাল এজেন্ট লা প্রিভোটের সঙ্গে মার্কিন বিচার বিভাগের সিনিয়র ট্রায়াল অ্যাটর্নি লিন্ডা স্যামুয়েলসের যোগাযোগ হয়। তিনি বাংলাদেশ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার চুরি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাচার সংক্রান্ত একটি মামলায় ওয়াশিংটন ফিল্ডের সহায়তা চেয়েছিলেন। তবে ফেসবুক পোস্টে সজীব ওয়েজদ জয় দাবি করেন, রিপোর্টে যে এফবিআই এজেন্টের কথা বলা হয়েছে তিনি বহু বছর আগেই সংস্থা থেকে অবসর নিয়েছেন। যে বিচার বিভাগের যে আইনজীবীর কথা বলা হয়েছে, তিনি ২০১৩ সালে মারা গেছেন। তার মৃত্যু সংবাদের খবরের লিংক শেয়ার করেন জয়।

হাসিনা ও সজীব সজীব যুক্তরাষ্ট্র ও কেম্যান আইল্যান্ডে অর্থ পাচার করেছেন উল্লেখ করে এফবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচার বিভাগের সম্পদ বাজেয়াপ্তকরণ বা মানি লন্ডারিং বিভাগ এসব তহবিল খুঁজে বের করতে, সংযত করতে, জব্দ করতে ওয়াশিংটন ফিল্ডের সহায়তা চেয়েছিল। আমাদের তদন্তে ওয়াজেদ কনসাল্টিং ইনকর্পোরেটেড নামে সন্দেহজনক কার্যকলাপও পাওয়া গেছে। ওয়াজেদ কনসালট্যান্ট বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অসংখ্য ব্যবসায় নিয়োজিত ছিল এবং বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট প্রকল্পের যুক্ত ছিল। তবে জয় দাবি করছেন, তার কোনো অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। তিনি এই শাসন ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করে দেখাতে বলেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব আর্থিক লেনদেনের বৈধতা নির্ধারণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সতর্কতার সঙ্গে যাচাই-বাছাই ও তদন্তের দাবি রাখে।

এফবিআই আরও বলেছে, তারা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য যাচাই এবং যে কোনো সম্ভাব্য অবৈধ কার্যক্রম মোকাবেলায় সহযোগিতা করার জন্য দুদকের সাথে যোগাযোগ করেছে।

তদন্তে ম্যাসাচুসেটস ও ভার্জিনিয়ায় সজীব সজীবের স্ত্রী ক্রিস্টিন ও. ওয়াজেদের সঙ্গে সন্দেহজনক ব্যাংক কার্যক্রমের তথ্যও পাওয়া গেছে বলেও উল্লেখ করা হয়। জয় তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘ক্রিস্টিন এবং আমি আর বিবাহিত নই। আমরা প্রায় তিন বছর আগে আলাদা হয়েছি এবং আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।’

এফবিআইয়ের প্রতিবেদনে তাদের গোপন তথ্যদাতা জয়ের দুই সহযোগীর নামও জানিয়েছেন- যুক্তরাষ্ট্র মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী। গোয়েন্দা সংস্থাটি ওয়াজেদ কনসাল্টিং, ইকম সিস্টেমস, এমভিয়ন ও ইন্টেলিজেন্ট ট্রেড সিস্টেমস লিমিটেডসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে সজীবের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে।

শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ও পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। কমিশনের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল অনুসন্ধান শুরু করে এবং ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে।

অনুসন্ধান দলের এক সদস্য সোমবার বলেছেন, তারা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, পাসপোর্ট অফিস, নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন।

অর্থ পাচারের বিষয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সূত্র থেকে ইতোমধ্যে তথ্য পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, পাসপোর্ট অফিস ও নির্বাচন কমিশন তাদের কিছু তথ্য দিলেও বাকি অফিসগুলো এখনো চিঠির জবাব দেয়নি।

আরো পড়ুন

আ. লীগ নিষিদ্ধের বয়ান বাতলে দিলেন পিনাকী! লেখক ও ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণা কীভাবে হতে পারে তা তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, আইনগত পরিভাষা গুরুত্বপূর্ণ যে কোনো ঘোষণার ক্ষেত্রে। অতএব, এইরকম ঘোষণা দেয়া যাইতে পারে: “এতদ্বারা বাংলাদেশের চিরস্বাধীন ও সার্বভৌম জনগণ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী, মানবতার বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে অগণিত গুম, খুন ও অন্যান্য অমার্জনীয়, অকল্পনীয়, বীভৎস ও দালিলিকভাবে প্রমাণিত অসংখ্য অপরাধ সংঘটনকারী, গণহত্যাকারী, লুটেরা, স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট; জনগণের রাজনৈতিক, সিভিল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও অন্যান্য সকল গণতান্ত্রিক ও নাগরিক অধিকার লুন্ঠনকারী; জনগণের ভোটাধিকার, মতপ্রকাশের অধিকার, বাকস্বাধীনতা ও সভাসমাবেশের অধিকার হরণকারী; রাষ্ট্রবিরোধী, অনুতাপ ও অনুশোচনাবিহীন বাংলাদেশ-বিরোধী ভারতভৃত্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সকল সহযোগী অঙ্গসংগঠনকে বাংলাদেশের আইন ও আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে বেআইনী, অবৈধ, রদ, রহিত, অবলুপ্ত এবং আইনের দৃষ্টিতে ও জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায় অনুযায়ী নিষিদ্ধ এবং বৈধ-অস্তিত্ববিহীন ঘোষণা করা হইল। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের আদেশক্রমে, —বাংলাদেশের চিরস্থায়ী মুক্ত ও সার্বভৌম

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
© All rights reserved © unnayansangbad.com
Developer Design Host BD