বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভবিষ্যতের রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ ইসলাম এবং ধর্মকে ভালোবাসে, কিন্তু ধর্মান্ধতা গ্রহণ করে না। আগামী দিনে এ দেশে ধর্মপ্রাণ মানুষের সঙ্গে ধর্মান্ধদের যুদ্ধ হবে। রিয়েল ইসলামিক মানুষ এবং জঙ্গি ইসলামিকদের মধ্যে একটি বড় সংঘাত ঘটবে।”
তিনি মনে করেন, দেশের ইসলামিক দলগুলো যদি একত্রিত হতে পারে এবং বিদেশি মুসলিম দেশগুলোর সহায়তা পায়, তবে তারা ১০-১২ শতাংশ ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা রাখে।
তিনি বলেন, “জামাত, হেফাজত, ইসলামী আন্দোলনসহ অন্যান্য ইসলামিক দলগুলো যদি একত্রিত হয় এবং তাদেরকে ইরান বা তুরস্কের মতো মুসলিম দেশগুলো সহায়তা দেয়, তাহলে তারা কিছুটা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। তবে প্রশাসন যদি সুষ্ঠুভাবে কাজ করে, তাহলে তাদের ভোট শক্তি খুব বেশি বাড়বে না।”
ফজলুর রহমান জামায়াতের সাংগঠনিক দক্ষতার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “জামায়াতের মধ্যে অনেক দক্ষ সংগঠক আছে। তারা বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল এবং ব্যাংক পরিচালনা করছে। তবে তাদের রাজনৈতিক শক্তি এখনো সীমিত। জামায়াতের সমর্থক সংখ্যা প্রচুর হলেও ভোটের ক্ষেত্রে তাদের প্রভাব খুব বেশি নয়। উদাহরণস্বরূপ, আটরশির পীর সাহেবের মাহফিলে লাখ লাখ মানুষ জড়ো হয়, কিন্তু তার ছেলে নির্বাচনে দাঁড়ালে মাত্র ৭০০০ ভোট পান।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে ধর্মপ্রাণ মানুষ ইসলামকে ভালবাসে, কিন্তু ধর্মান্ধতা পছন্দ করে না। ভবিষ্যতে ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক সংঘাতের বিষয়টি জনগণের সচেতনতা এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষতায় নির্ভর করবে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই নির্ধারণ করবে ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অবস্থান।”
তার মতে, ইসলামিক দলগুলো যদি বড় ধরনের ঐক্য গড়ে তুলতে পারে, তবুও তারা সর্বোচ্চ ২০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। দেশের সামগ্রিক রাজনীতিতে তাদের প্রভাব এখনো সীমিত। জনগণ যদি সচেতন হয় এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে উগ্রবাদ এবং বিভেদ সৃষ্টি করার অপচেষ্টা সফল হবে না।
ফজলুর রহমান দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা থাকলেও, ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে জনগণ সবসময় সোচ্চার থাকবে।