নরসিংদীর বেলাবতে একই জমি চারজনের কাছে বিক্রি করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা কায়সার ই আলম প্রধানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে নরসিংদীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. মেশকাতুল ইসলাম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত কায়সার ই আলম প্রধান বেলাব উপজেলার ধুকুন্দি গ্রামের আব্দুল গফুর মাস্টারের ছেলে। তিনি জুপিটার পাবলিকেশন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
একই সঙ্গে তিনি বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বেলাব উপজেলার ধুকুন্দি গ্রামের আরিফুর রহমান কায়সারের কাছ থেকে উজিলাব মৌজায় ৯.২৫ শতাংশ জমি কেনার কথাবার্তা হয়। তারা জমির মূল্য ২৮ লাখ টাকা নির্ধারণ করেন। কথামতো আরিফুর দুই ধাপে ২৩ লাখ টাকা পরিশোধ করেন।
পরে ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর কায়সার আলম দলিল রেজিস্ট্রেশন করার জন্য বেলাব সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দলিল সম্পাদনের জন্য ১০ পাতা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও টিপসই করেন। কিন্তু সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রেশন না করে দিয়ে সেখান থেকে কৌশলে চলে আসেন। পরে জানা যায়, ওই জমি আরো চারজনের কাছে বিক্রি করেছেন। তার জালিয়াতির কথা জানতে পেরে ভুক্তভোগী টাকা ফেরত চাইলে কায়সার তাদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দেন।
পরে আরিফুর রহমান নরসিংদীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেটের বেলাব আমলি আদালতে কায়সার ই আলম প্রধানকে প্রধান আসামি করে চারজনের নামে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত বেলাব থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে বেলাব থানার এসআই আজিজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। পরে আসামিদের সমন জারি করা হলে কায়সার ও ৪ নম্বর আসামি নাজমুল ইসলাম সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত সব কিছু পর্যালোচনা করে তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় কায়সারকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
আর নাজমুলের জামিন মঞ্জুর করে বাকি দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার হালিম বলেন, বাদী সরল বিশ্বাসে জমি কেনার জন্য তাকে টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তিনি বাদীর কাছ থেকে জমি বিক্রির টাকা নিয়েও আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। আমরা আদালতে তার সই করা সব আসল ডকুমেন্ট উপস্থাপন করেছি। যার ফলে আদালত সব কিছু বিবেচনা করে তাকে কারাগারে পাঠান।