রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নুরজাহান রোডে সাবেক এমপি বিপ্লবের বাসায় জোরপূর্বক ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে আহত করার মামলায় ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক দোলনকে(৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে মোহাম্মদপুরের মকবুল হোসেন কলেজের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “শুক্রবার দুপুরের দিকে গ্রেপ্তারকৃত ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক দোলন সহ বেশ কয়েকজন সাবেক এমপি বিপ্লবের বাসায় জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করে। এই সময়ের লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে এতে মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তি গুরুতর জখম হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়ে মধ্যরাতে মোহাম্মদপুর থানায় এসে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা(মামলা নং-৪৩)দায়ের করেন। এই মামলায় এজহারভুক্ত কাইয়ুম হোসেন,মো শাহিন,নাসির ও সাব্বির পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরো ৫-৭ জন আসামি রয়েছে।”
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, নুরজাহান রোডের ৩৮ নম্বর বাসায় কয়েকজন ব্যক্তি জোরপূর্বক বাসায় ঢুকে। কিছুক্ষণ পরে তাদের বেশ কয়েকজনের হাতে ধারালো চাপাতি দিয়ে আশপাশের লোকজনকে কোপাতে উদ্যত হয়। ভয়ে তখন আশপাশের লোকজন দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। এ সময় মোহাম্মদ আলী নামে একজনকে কুপিয়ে আহত করে ৩৩ নাম্বার ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক আহবায়ক দোলনসহ বেশ কয়েকজন। পরে তারা মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদপুর থানার সাবেক যুবদলের সভাপতি জাহিদ মোড়লের একনিষ্ঠ সহযোগী দোলনসহ অন্যান্যরা জাহিদ মোড়লের নির্দেশেই দোলনসহ অন্যান্যরা সাবেক এমপি বিপ্লবের বাসায় তল্লাশির নামে ডাকাতির চেষ্টা করে।এ সময় আশপাশের লোকজন জানতে পেরে চিৎকার চেঁচামেচি করলে তারা ধারালো চাপাটি দিয়ে আশপাশের লোকজনকে কোপানোর চেষ্টা করে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি নামাজ পড়ে ফেরার সময় আশপাশের লোকজনের চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেয়ে ৩৮ নম্বর বাসায় প্রবেশ করেন। সেখানে তারা এই বাসায় এমপি বিপ্লব আছে বলে জানায়। মামলার বাদী মোহাম্মদ আলী তাদের বলেন, ‘এটি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ আপনারা কেন বাসায় এসেছেন। এ সময় বেশ কয়েকজন চাপাতি দিয়ে তাকে ধাওয়া করে এবং একপর্যায়ে তাকে ধারালো চাপাতি দিয়ে কাঁধে কোপ দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে নিয়ে গেলে তার কাঁধে ২৫টি সেলাই দেন চিকিৎসক। এই ঘটনায় তিনি পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পাঁচ সাত জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।