শিরোনাম :
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সভাপতির ’গুলি করে হত্যার’ হুমকির অডিও ভাইরাল গোপালগঞ্জে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বহাল গফরগাঁওয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অভ্যুত্থানের পর বাকস্বাধীনতার সুযোগ পাচ্ছি: গোলাম পরওয়ার শহীদ আবু সাঈদের মাকে নিয়ে কটূক্তি, পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে গোপালগঞ্জে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ, জনসাধারণকে ধৈর্যের আহ্বান গোপালগঞ্জে সহিংসতা-প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে কমিটি এনসিপির অপরিকল্পিত কমসূচির কারণে গণঅভ্যুত্থানের শক্তি হামলার মুখে পড়ছে: সালাহউদ্দিন খাদ্য বিষক্রিয়ায় ভাই-বোনের মৃত্যু ‘ফ্যাসিস্ট আ.লীগকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেওয়া যাবে না’

শেখ হাসিনার পতনের ৪ দিন আগে বসুন্ধরা গ্রুপ কী সুবিধা পেয়েছে

উন্নয়ন সংবাদ রিপোর্ট
  • আপডেট : রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের চার দিন আগে বসুন্ধরা গ্রুপকে দুই বছর ঋণ পরিশোধ না করার সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ন্যাশনাল ব্যাংকে থাকা ঋণের জন্য গ্রুপটি এই সুবিধা পেয়েছে। ন্যাশনাল ব্যাংকে বসুন্ধরা গ্রুপের ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা। যার মধ্যে সরাসরি ঋণ ৩ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা।

ব্যাংকটি থেকে বসুন্ধরা গ্রুপকে দেওয়া সরাসরি ঋণ আইন অনুযায়ী তাদের জন্য প্রযোজ্য ঋণসীমার ৮ গুণ বেশি। বসুন্ধরার খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিলের সময় বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। যা ছিল তাদের খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিলের দ্বিতীয় ঘটনা।

সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের পীড়াপীড়িতে গত ৩১ জুলাই এ-সংক্রান্ত চিঠি ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছে পাঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এর আগে ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়।

চিঠিতে বলা হয়- এ অনুমোদন ব্যাংকের অন্য কোনো গ্রাহকের বা অন্য কোনো ব্যাংকের অন্য কোনো গ্রাহকের ঋণ হিসাব পুনঃ তফসিলের ক্ষেত্রে নজির হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। ফলে বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য দেওয়া এই সুবিধাকে বিরল হিসেবে বর্ণনা করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপ কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। দীর্ঘদিন ধরেই নানা রকম সংকটে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক। ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, ঋণ আদায় করতে না পারায় ব্যাংকের তারল্যসংকট চরম আকার ধারণ করেছে। স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম অনেকটা থমকে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে থাকা চলতি হিসাবে ঘাটতি থাকায় চেক নিষ্পত্তিও বন্ধ রয়েছে। অনেক শাখা ব্যবস্থাপক কার্যালয়ে অনুপস্থিত থাকছেন। গত জুন শেষে ব্যাংকটির ঋণ ছিল ৪২ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ২০ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৪৯ শতাংশ।

একটি ব্যাংক থেকে একটি ব্যবসায়ী গ্রুপকে কী পরিমাণ ঋণ ও ঋণসুবিধা নিতে পারবে, তা ব্যাংক কোম্পানি আইনে নির্দিষ্ট করা আছে। এতে বলা হয়েছে, একটি গ্রুপকে কোনো ব্যাংক সরাসরি ঋণ হিসেবে তার পরিশোধিত মূলধনের ১৫ শতাংশ এবং ঋণসুবিধা অর্থাৎ ঋণপত্র, গ্যারান্টি ইত্যাদি হিসেবে ১০ শতাংশ অর্থ দিতে পারবে।

সেই হিসাবে ন্যাশনাল ব্যাংক বসুন্ধরা গ্রুপকে ৪৮২ কোটি টাকা সরাসরি ঋণ ও ৩২১ কোটি টাকার ঋণ সুবিধা দিতে পারে। ন্যাশনাল ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ৩১ আগস্ট শেষে ন্যাশনাল ব্যাংকে বসুন্ধরা গ্রুপের সরাসরি ঋণ বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা।

আরো পড়ুন

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১  
© All rights reserved © unnayansangbad.com
Developer Design Host BD