আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে সকল সদস্য সরাসরি জুলাই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলো তাদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে তদন্তের মাধ্যমে, মামলার মাধ্যমে হোক বা যেকোন মাধ্যমে অবশ্যই বিচার করার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক সারজিস আলম।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির একটি কক্ষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মানিকগঞ্জের শহীদ পরিবার ও আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিমিয়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় সারজিস আলম বলেন, কেই একজন অতি উৎসাহী হয়ে, নিজের জায়গা থেকে ওই ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে, মানে নিজেকে তুলে ধরার জন্য অন্যায়ভাবে নির্দেশের বাইরে গিয়ে অনেকে অন্যায় নির্দেশও পালন করেছে, এই কাজগুলা যারা করেছে তারা অন্যায়কারী। সে যদি পুলিশের হয় পুলিশেরই, এটা আমার দেখার সুযোগ নাই। পুলিশের যদি বিচার না হয় তাহলে রাষ্ট্রের অন্য একজনের বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের প্রসঙ্গে সারজিস বলেন, মামলায় অনেক সময় নির্দোষ মানুষের নাম উঠে আসার কথা শোনা যাচ্ছে, তারা হয়রানী হচ্ছে। কেউ কেউ এই মামলায় নাম দেওয়া, নাম কাটা নিয়ে টাকার ব্যবসাও করছে। আপনারা শুধু এটুকু খেয়াল রাখবেন, আমাদের যে ভাইয়েরা দেশের জন্য জীবন দিয়েছে তাদের নামটি যেন এইভাবে অপব্যবহার না করা হয়।
মতবিনিময় সভায় ঢাকার ধামরাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে নিহত সাদ ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় নিহত রফিকের পরিবার ছাড়াও বেশ কয়েকজন আহত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। যারা আন্দোলনের অভিজ্ঞতা ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে নিজ নিজ অভিমত ব্যক্ত করেন। তবে এসময়ে ছাত্রলীগ নেতা ও কিছু সুবিধাবাদীরাও ছাত্র আন্দোলনে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত দাবী করে সমন্বয়ক কমিটির সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন।
উল্লেখ্য, সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ ১০ জনের একটি সমন্বয়ক টিম রোববার সকাল ১০ টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এসে পৌছান। এরপর জেলা-উপজেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘন্টার আলোচনা অংশ নেন। পরে দুপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মানিকগঞ্জের শহীদ পরিবার ও আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বিকেল ৪টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে ছাত্র-জনতার সঙ্গে সমন্বনয়ক কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।