শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাসে মন্দির নির্মাণের চেষ্টা করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের পাশে অনুমতিবিহীন মন্দির নির্মাণ করতে গেলে বাধা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মন্দির নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের পেছনে ৫০ শতক জায়গা বরাদ্দ দেয়। কিন্তু ১৩ বছর পার হয়ে গেলেও প্রশাসন কোনো মন্দির নির্মাণ করেনি। সেজন্য নিয়মিত প্রার্থনার সুবিধার্থে সনাতন শিক্ষার্থীদের অনুদানে মন্দির নির্মাণ হচ্ছে। এতে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের পাশের টিলায় নির্মাণসামগ্রী নিয়ে এসে শ্রমিকদের মাধ্যমে কাজ শুরু করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।
মন্দির নির্মাণকাজে নেতৃত্ব দেওয়া ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র শান্তনু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কালী পূজাকে কেন্দ্র করে আমরা মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। প্রত্যেক বছর কালী পূজা আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় আমাদেরকে পূজামণ্ডপ তৈরি করতে হয়। এতে আমাদের অতিরিক্ত অর্থ খরচ হয়। তাই অতিরিক্ত অর্থ খরচ ও নিয়মিত প্রার্থনা করতে এ মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কাজ করতে আসলে আমাদের কাজে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাধা দেয়। তারা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আইনি কাঠামো আছে। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া এ রকম কোনো কাজ করা যাবে না এবং আমাদের কাজ বন্ধ করতে বলে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক সৈয়দ বদিউজ্জামান ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রশাসনের কাছ থেকে তারা কোনো অনুমতি নেয়নি। তাদের তাৎক্ষণিক ডাকা হয়েছে এবং মন্দির বানানোর কাজ বন্ধের জন্য বলা হয়েছে। তারা দুই ঘণ্টা সময় নিয়েছে। এর মধ্যে বন্ধ না হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’