শিরোনাম :
চেয়ারে বসার পর এখন আর ছাড়তে ইচ্ছে হয় না: ডাক্তার জাহিদ ইশরাকের অনুসারীরা রাস্তা থেকে সরে যাবেন, আশা মির্জা ফখরুলের কবে গাজা দখল করবেন, জানালেন নেতানিয়াহু জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান বিএনপির আদালত প্রাঙ্গণে মমতাজকে ডিম ও জুতা নিক্ষেপ ছাত্র উপদেষ্টারা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের রাস্তায় থাকতে বললেন ইশরাক সৌদি আরব যেভাবে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো দল ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মীকে গুলি করে হত্যা সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে শাহবাগ মোড়ে ছাত্রদলের অবস্থান আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বাকস্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে : হিউম্যান রাইটস ওয়াচের

বিচার বিভাগ, পুলিশ, প্রশাসন ও দুদক সংস্কারে হবে কমিশন

উন্নয়ন সংবাদ রিপোর্ট
  • আপডেট : বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার ও জনগণের মালিকানায় ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রশাসন, বিচার প্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কার করা হবে। এসব সংস্কার করতে ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশন আগামী ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করবে এবং তিন মাসের মধ্যে সংস্কারের সুপারিশ দেবে। এরপর রাজনৈতিক দল, ছাত্র সমাজ, নাগরিক সমাজের সঙ্গে কথা বলে সংস্কার ভাবনার রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. ইউনূস বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের এক মাসে নির্বাচন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সংস্কার আমাদের ভাবনায় গুরুত্ব পেয়েছে। আমরা মনে করি নির্বাচনের নামে সংখ্যাগরিষ্ঠতার একাধিপত্য ও দুঃশাসন মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া বা এর মাধ্যমে এক ব্যক্তি বা পরিবার বা কোনো গোষ্ঠীর কাছে সকল ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। এসব আশঙ্কা রোধ করার জন্য নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের কথা আমরা ভাবছি। নির্বাচন ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রশাসন, বিচার প্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন এই চারটি প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য। এসব প্রতিষ্ঠানের সংস্কার জন মালিকানাভিত্তিক, জবাবদিহিমূলক ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

তিনি আরও বলেন, পূর্ণাঙ্গভাবে গঠিত হওয়ার পর কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে তার কাজ আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে শুরু করতে পারবে বলে আশা করছি এবং এটি পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আমরা ধারণা করছি। কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে সরকার-পরবর্তী পর্যায়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ সভার আয়োজন করবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে ছাত্র সমাজ, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সরকারের প্রতিনিধি নিয়ে ব্যাপকভিত্তিক তিন থেকে সাত দিনব্যাপী একটি পরামর্শ সভার ভিত্তিতে সংস্কার ভাবনার রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে। এতে এই রূপরেখা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তার একটি ধারণা দেওয়া হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পর্যায়ক্রমে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ সভার আয়োজন করা হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সরকারের প্রতিনিধি নিয়ে ব্যাপকভিত্তিক তিন থেকে সাত দিনব্যাপী একটি পরামর্শ সভার ভিত্তিতে সংস্কার ভাবনার রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে।

আরো পড়ুন

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
৩১  
© All rights reserved © unnayansangbad.com
Developer Design Host BD