আমদানির খবরে কেজিতে ১০ টাকা কমলো পেঁয়াজের দাম

উন্নয়ন সংবাদ রিপোর্ট
  • আপডেট : রবিবার, ৫ মে, ২০২৪

পেঁয়াজ রফতানিতে পাঁচ মাস পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে ভারত। সেইসঙ্গে দেশে আমদানির খবরে একদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমেছে। হিলিতে দাম কমায় খুশি নিম্নআয়ের মানুষ। পেঁয়াজ আসা শুরু হলে দাম আরও কমবে বলে জানালেন আমদানিকারকরা।

রবিবার বিকালে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব দোকানে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। শনিবার ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও রবিবার ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা সবুজ হোসেন বলেন, ‘ঈদের পর থেকেই পেঁয়াজের দাম বেশি। ৫০ টাকা থেকে ৭০-৭৫ টাকায় উঠে গিয়েছিল। বাড়তি দামের কারণে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। বাধ্য হয়ে পরিমাণ কমাতে হয়েছে। এক কেজির জায়গায় আধা কেজি কিনেছি। আজ কেজি ৬০ টাকা।’

হিলির বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার থেকে আমদানি শুরু হওয়ার খবরে রবিবার কেজিতে ১০ টাকা কমেছে দাম। অথচ সরবরাহ কম বলে দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। হঠাৎ করে রবিবার সব দোকানে সরবরাহ বেড়েছে। অথচ ভারতীয় পেঁয়াজ এখনও দেশে আসেনি। এগুলো ব্যবসায়ীদের কারসাজি ছাড়া কিছুই নয়। আমরা চাই এই সিন্ডিকেট ভেঙে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখুক সরকার।’

আমদানি বন্ধ থাকায় গত কয়েক মাস দেশি পেঁয়াজ দিয়েই দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ হচ্ছিল জানিয়ে হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আবুল হাসনাত বলেন, ‘বাজারে সরবরাহ ভালো ছিল। কিন্তু ঈদের পর থেকে দাম বাড়তে শুরু করে। ঈদুল আজহাকে ঘিরে অনেক ব্যবসায়ী মজুত করেছেন। ফলে দাম ৭০ টাকায় উঠে যায়। শনিবার ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। দু’একদিনের মধ্যে আমদানি শুরু হবে। এই খবরে বাজারে সরবরাহ বেড়ে গেছে। যারা মজুত করেছেন তারা ছাড়তে শুরু করেছেন। এতে মণে ৩০০-৪০০ টাকা কমেছে। আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারছি। আমদানি শুরু হলে দাম আরও কমবে।’

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সহসভাপতি ও পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পাঁচ মাস পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে ভারত। প্রতি টন পেঁয়াজ ৫৫০ ডলারে রফতানি করবে বলে আমাদের জানিয়েছে। আমদানির অনুমতিপত্র ও ব্যাংকে এলসি খোলার কাজ সেরে রেখেছি আমরা। শনিবার ছিল সরকারি ছুটির দিন। যার কারণে ব্যাংক ও সরকারি অফিস বন্ধ ছিল। ফলে অনুমতিপত্রের আবেদন জমা দিতে পারিনি। আশা করছি, সব প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার থেকে আমদানি শুরু হবে। তবে যাদের আগে এলসি করা ছিল ৮০৫ ডলারের তাদের ৫৫০ ডলার পরিশোধ করতে হবে। সেইসঙ্গে তারা সোমবার থেকে আমদানি করতে পারবেন। আমদানি শুরু হলে দাম কমে যাবে। ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারবো।’

গত ৮ ডিসেম্বর থেকে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। সেই সময়ের ঘোষণা অনুযায়ী ৩১ মার্চ পর্যন্ত রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে মেয়াদ শেষের আগেই ২৩ মার্চ অনির্দিষ্টকাল বন্ধের ঘোষণা দেয় ভারত।

আরো পড়ুন

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
© All rights reserved © unnayansangbad.com
Developer Design Host BD